যশোর শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রে তিন কিশোরকে হত্যায় জড়িত ১২ জনকে শনাক্ত করেছে পুলিশ। এরমধ্যে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়কসহ পাঁচ কর্মকর্তাকে আটক দেখানো হয়েছে। বাকি ৭ জন কিশোর বন্দি হওয়ায় তাদেরকে কেন্দ্রেই নজরদারিতে রাখা হয়েছে।
আটককৃতরা হলেন- কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, প্রবেশন অফিসার মুশফিক আহমেদ, ফিজিক্যাল ইন্সট্যাক্টর শাহানুর রহমান, ট্যাকনিক্যাল ইন্সট্যাক্টর ফারুক হোসেন।
যশোর ক সার্কেলের অতিরিক্ত পুলিশ সুপার শেখ গোলাম রব্বানী জানান, নিহত পারভেজের পিতা রোকা মিয়া শুক্রবার সন্ধ্যায় অজ্ঞাতনামা আসামি ধরে মামলা করেন।
প্রাথমিক তদন্তে কেন্দ্রে বন্দিদের মারধর ও হত্যার ঘটনায় ১২ জনকে শনাক্ত করা হয়েছে। এরমধ্যে কেন্দ্রের তত্ত্বাবধায়ক আব্দুল্লাহ আল মাসুদ, সহকারী তত্ত্বাবধায়ক মাসুম বিল্লাহ, প্রবেশন অফিসার মুশফিক আহমেদ, ফিজিক্যাল ইন্সট্যাক্টর শাহানুর রহমান, ট্যাকনিক্যাল ইন্সট্যাক্টর ফারুক হোসেন উপস্থিত থেকে মারধরে অংশ নেন। এছাড়া তারা নির্যাতনের কাজে কেন্দ্রের বন্দি ৭ কিশোরকে ব্যবহার করেন। জড়িত ওই ৭ কিশোরকে নজরদারিতে রাখা হয়েছে। বন্দি হওয়ায় এখনি তাদের আটক করা সম্ভব হচ্ছে না। আদালতের মাধ্যমে তাদের এ মামলায় শোন অ্যারেস্ট দেখানো হবে।
প্রসঙ্গত, তুচ্ছ ঘটনাকে কেন্দ্র করে গত বৃহস্পতিবার দুপুর থেকে শিশু উন্নয়ন কেন্দ্রের ১৮ বন্দির ওপর নির্যাতন চালানো হয়। এতে তিন বন্দি কিশোর নিহত হয়। এছাড়া আহত ১৫ জনকে যশোর জেনারেল হাসপাতাল ভর্তি করা হয়েছে।